বীমা বিক্রয়ে সম্ভাব্য গ্রাহক খোঁজার কার্যকর পাঁচ কৌশল
রাজ কিরণ দাস: বীমা খাতে সফল ও দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার গড়তে হলে সম্ভাব্য গ্রাহক খোঁজা বা প্রসপেক্টিং অপরিহার্য। তবে প্রতিযোগিতার বাজারে যেখানে একাধিক ব্রোকার সীমিত সংখ্যক যোগ্য গ্রাহকের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, সেখানে সঠিক কৌশল অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিজ্ঞ পেশাজীবীরা বলছেন, ধারাবাহিক লিড পাওয়ার মূলমন্ত্র হলো সম্পর্ক গঠন, বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি ও কৌশলগত প্রচেষ্টা।
সম্পর্ক গড়ে তোলা ও লালন করা
বীমা একটি সম্পর্কনির্ভর শিল্প। মানুষ আবেগ দিয়ে কেনে এবং যুক্তি দিয়ে তা ব্যাখ্যা করে। গ্রাহক যাকে পছন্দ করবে, সেখানেই সে বীমা কিনবে।
কৌশল: নিয়মিত যোগাযোগ, পার্সোনালাইজড ফলো-আপ এবং সততা বজায় রেখে বিশ্বাস অর্জন।
পণ্যের প্রকৃত মূল্য স্পষ্টভাবে উপস্থাপন
গ্রাহকের কাছে বীমার সুবিধা সহজভাবে বোঝানো দক্ষ ব্রোকারকে আলাদা করে। সর্বোচ্চ দক্ষতা হলো জটিল বিষয়কে সহজভাবে ব্যাখ্যা করা।
কৌশল: বাস্তব উদাহরণ ও সংক্ষিপ্ত তুলনা ব্যবহার করে সুবিধা তুলে ধরা; নির্দিষ্ট খাতে বিশেষজ্ঞ হয়ে আত্মপ্রকাশ।
শক্তিশালী রেফারেল প্রোগ্রাম
সন্তুষ্ট গ্রাহকের সুপারিশ একটি শক্তিশালী লিড। আনুষ্ঠানিক রেফারেল প্রোগ্রাম এবং পার্টনারশিপের মাধ্যমে নতুন গ্রাহক তৈরি করা যায়।
কৌশল: পুরনো ও নতুন গ্রাহক উভয়কে উৎসাহিত করার ইন্সেন্টিভ, সহজ রেফারেল ফর্ম এবং আর্থিক পরামর্শক, রিয়েল-এস্টেট এজেন্টের সঙ্গে পার্টনারশিপ।
আপত্তি মোকাবেলায় প্রস্তুতি
গ্রাহকের সাধারণ প্রশ্ন যেমন মূল্য, কভারেজ কিংবা প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপত্তি স্বাভাবিক। সফল ব্রোকাররা পূর্বে সম্ভাব্য প্রশ্ন অনুমান করে সহজ সমাধান প্রদানের মাধ্যমে আপত্তি দূর করে থাকেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় উপস্থিতি
লিংকডইন ও ফেসবুক হলো নতুন গ্রাহক খুঁজে পাওয়ার কার্যকর মাধ্যম। লিংকডইনে শিক্ষামূলক কন্টেন্ট শেয়ার করে বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তোলা যায়, আর ফেসবুকে লক্ষ্যভিত্তিক বিজ্ঞাপন ও স্থানীয় গ্রুপে উপস্থিতি নতুন অডিয়েন্স এনে দেয়।
সফল বীমা প্রসপেক্টিং মানে কেবল লিড পাওয়া নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি গ্রাহক সম্পর্ক গড়ে তোলা, বিশ্বস্ততা অর্জন এবং ব্যবসায় ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা। সঠিক কৌশল ও ধারাবাহিক প্রয়াস থাকলে ব্রোকাররা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবেন এবং নিজেদের ব্র্যান্ডও শক্তিশালী করতে পারবেন।