দাবানলে ১১.৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে বীমা

পাপলু রহমান: পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় না। উন্নত বিশ্বেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষতি হয়। কিন্তু তা তারা কাটিয়ে উঠতে পারে। এর কারণ হলো সে দেশের যাবতীয় সম্পদের বীমা করা থাকে। আর বীমা কোম্পানিগুলো ক্ষতিপূরণে এগিয়ে আসে।

গেল বছর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়ে। এর ফলে রাজ্যের ২০ হাজার একরের বেশি জমি পুড়ে যায় এবং ৮৬ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

এএফপির খবরে বলা হয়েছিল, ‘ক্যাম্প ফায়ার’ নামের ওই দাবানলের কারণে কয়েক ডজন বাড়ি পুড়েছিল এবং ১৫ হাজারের বেশি অবকাঠামো ঝুঁকিতে পড়ে। এতে শহরটির কমপক্ষে ২৬ হাজার বাসিন্দা হুমকিতে পড়ে।

সোমবার দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্ষতিগুলোর একটি হলো এই ক্যাম্প ফায়ার। নভেম্বরেই প্যারাডাইজ শহরের দাবানলে ৮ বিলিয়ন ডলার এবং দক্ষিণ ক্যালিয়াফোর্নিয়ার দুটি দাবানলে ৩ বিলিয়ন সম্পদের ক্ষতি হয়।

ইউএসএ টুডের খবরে বলা হয়েছে, বীমা কোম্পানিগুলো এসব দাবানলের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ১১.৪ বিলিয়ন ডলার প্রদান করবে। তবে ভবিষ্যতে দাবানলপ্রবণ অঞ্চলে গৃহবীমা পলিসির পর্যাপ্ততার উদ্বেগ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বীমা শিল্প গ্রুপের সহ-সভাপতি আর্মান্ড ফেলিসিয়ানো আশা করছেন বীমাকারীরা তাদের সব দাবি পরিশোধ করতে প্রস্তুত এবং তা পারবে।

ইন্স্যুরেন্স কমিশনার রিচার্ডো লারা বলেছেন, দাবানলের কারণে মোট সম্পদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২.৪ বিলিয়ন ডলার। এটি আমাদের জন্য অনেক। তবে ক্ষয়ক্ষয়তির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ায় ধ্বংসাত্মক দাবানলের ঘটনা বাড়ছে। ২০১৭ সালেও সেখানে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে ১১.৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়।

লারা বলেন, ফায়ারপ্রবণ এলাকার মানুষের জন্য বীমা শিল্প টিকে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বীমা বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তথ্য সংগ্রহ শুরু করছে। তবে কিছু বীমা কোম্পানি ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারে।

আমেরিকান প্রপার্টি ক্যাসুয়ালিটি ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের নিকোল মাহার্ট-গনলি বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার এখনও একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার আছে। অনেক বীমা কোম্পানিই নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারে।