গ্রামীণ বীমা বাজার: সঠিক উদ্যোগ নিলেই উন্মুক্ত হবে নতুন দিগন্ত
রাজ কিরণ দাস: বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি বিগত কয়েক দশকে বদলে গেছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গ্রামের মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। এই পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে বীমা খাত চাইলে গ্রামীণ বাজারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
গ্রামীণ মানুষের জন্য সহজ, সাশ্রয়ী এবং স্বচ্ছ বীমা পণ্য চালু করা এখন সময়ের দাবি। বীমার নথি সরল করা, শর্তগুলো বোধগম্য করা এবং গ্রাহকবান্ধব সেবা নিশ্চিত করলে আস্থা তৈরি হবে। একই সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বীমা পৌঁছে দেয়া গেলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও সহজে সেবা নিতে পারবে।
আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধি এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ইউনিয়ন পরিষদ, এনজিও এবং স্থানীয় কমিউনিটি নেতাদের সম্পৃক্ত করে সচেতনতা গড়ে তুললে মানুষ বীমাকে বাড়তি বোঝা নয়, বরং নিরাপত্তার হাতিয়ার হিসেবে দেখবে। কৃষক, দিনমজুর ও শ্রমজীবীদের জন্য বিশেষ বীমা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করলে সামাজিক সুরক্ষা আরও দৃঢ় হবে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বীমা কোম্পানিগুলো যদি গ্রামীণ বাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে এগিয়ে আসে এবং সরকার যদি নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখে, তবে গ্রামীণ বীমা খাত শুধু অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকেই জোরদার করবে না, বরং জাতীয় অর্থনীতির জন্যও হয়ে উঠবে এক শক্তিশালী ভরকেন্দ্র।