বিশ্বব্যাপী এসএমই বীমা বাজারে বছরে ৬.৫% প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) খাত এখন দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। গবেষণা সংস্থা মার্কেট রিসার্চ ফিউচার’র করা সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক এসএমই বীমা বাজারের আকার ছিল ২৭.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৪ সালে তা ২৮.৬৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পর ২০৩২ সালে তা ৪৫.৬১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই পুরো সময় জুড়ে বাজারটি বার্ষিক গড়ে ৬.৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।

এই পুরো সময়জুড়ে খাতটি গড়ে ৬.৫ শতাংশ বার্ষিক যৌগিক প্রবৃদ্ধি (সিএজিআর) অর্জন করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কেট রিসার্চ ফিউচার।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এসএমই বীমা বাজারের এই ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে তিনটি প্রধান কারণ। কারণগুলো হলো- ব্যবসায়িক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন দেশের কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিমালা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য উপযোগী কাস্টমাইজড বীমা পণ্যের প্রাপ্যতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা আগের তুলনায় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন। বাজারে প্রতিযোগিতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সাইবার ঝুঁকি ও আর্থিক অনিশ্চয়তার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বীমা সুরক্ষা ব্যবসার স্থিতিশীলতা বজায় রাখছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডিজিটাল প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং বিগ ডেটা বিশ্লেষণ বীমা খাতকে নতুনভাবে রূপান্তর করছে। অনলাইন পলিসি ইস্যু, স্বয়ংক্রিয় ক্লেইম নিষ্পত্তি এবং দ্রুত গ্রাহক সহায়তা এসএমই বীমাকে আরও সহজলভ্য ও কার্যকর করে তুলেছে।

মার্কেট রিসার্চ ফিউচার-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশেষ করে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো- এসএমই বীমা বাজারে আগামী বছরগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দ্রুত শিল্পায়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বৃদ্ধি এই অঞ্চলে বীমা খাতের সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত করছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এসএমই বীমা খাতের এই প্রবৃদ্ধি শুধু ব্যবসার নিরাপত্তা নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বীমা সুরক্ষা যত বাড়বে, ততই তারা বিনিয়োগ ও উৎপাদনে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। (সংবাদ সূত্র: ইন্স্যুরেন্স এশিয়া)