আর্থিক অনিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ: সোনালী লাইফের উর্ধ্বতন ৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উর্ধ্বতন ৫ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে বীমা কোম্পানিটির প্রশাসক। আর্থিক অনিয়ম, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সনদ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বরখাস্ত করা হয়। একইসাথে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নেয়া অর্থ ৭ দিনের মধ্যে ফেরত দেয়া এবং তাদের কাছে থাকা কোম্পানির নথিপত্র, গাড়ি, ইলেক্ট্রনিক আইটেমসহ সকল সরঞ্জমাদি কোম্পানির এইচআর বিভাগের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোনালী লাইফের প্রশাসক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি রোববার (৭ জুলাই) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। এর আগে এসব কর্মকর্তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে অনিয়মের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কিন্তু তাদের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন প্রশাসক।
বীমা কোম্পানিটির বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আজিম এবং সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ।
বরখাস্তকৃত এই ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইনসেনটিভের নামে ৩০ লাখ টাকা করে গ্রহণ, প্রশাসককে সহযোগিতা না করার জন্য অন্য কর্মকর্তাকে হুমকি প্রদান, প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করে প্রশাসক ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দাখিল, কোম্পানির উন্নয়ন কর্মীদের মাঝে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ, কমিশনের অর্থকে বেতন বলে মাঠকর্মীদের মাঝে অপপ্রচার এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়াও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলামের বরখাস্তের চিঠিতে উল্লেখ করা হয় তিনি শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে চাকরি নিয়েছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে সোনালী লাইফ কর্তৃপক্ষ, যা বীমা আইন ২০১০ এবং ফৌজদারি অপরাধ।
রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ করা হয়, কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার এক দিন আগে তিনি দেড় কোটি টাকা ক্যাশ ইনসেনটিভ নোট উপস্থাপন করে অনুমোদন করিয়ে নেন। এই দেড় কোটি টাকার মধ্য থেকে তিনি নিজে ৩০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।