বছরজুড়ে বীমা খাতে সাড়া ফেলেছে যেসব ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বহুল প্রতীক্ষিত ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হয়েছে দেশের বীমা খাতে। করপোরেট গভর্ন্যান্স ও রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স গাইডলাইন জারি হয়েছে। এসেছে নতুন মরটালিটি টেবিল ও মরবিডিটি টেবিল বাস্তবায়নের ঘোষণাও। বীমা খাতের এমন আরো কিছু ইতিবাচক ঘটনার সাক্ষী ২০২৩ সাল।

অপরদিকে বেশ কয়েকটি নেতিবাচক ঘটনারও সাক্ষী বিদায়ী বছর। নতুন বছরের আগমনী বার্তা যখন দোরগোড়ায় তখনি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে সোনালী লাইফের কাছে কোম্পানিটির বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের ফ্লোর বিক্রি এবং তার পরিবারের ৭ সদস্যের বিনা পয়সায় পরিচালক হওয়ার ঘটনা।

এ ছাড়াও বীমা দাবি পরিশোধে ব্যর্থ প্রগ্রেসিভ লাইফে পর্যবেক্ষক নিয়োগ, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের মালিকানা বদল, স্বদেশ ইসলামী লাইফের নতুন পলিসি ইস্যুর ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ হোমল্যান্ডের মুখ্য নির্বাহীকে অপসারণে আইডিআরএ’র আদেশ আদালতে স্থগিতের ঘটনা বেশ সাড়া ফেলেছে বীমা খাতে।

বিদায়ী বছরে ঘটে যাওয়া আলোচিত-সমালোচিত এসব ঘটনার রেশ হয়তো নতুন বছরেও টানতে হবে বীমা খাতকে। তবে নতুন কিছু সম্ভাবনা আর চ্যালেঞ্জ নিয়ে ক্যালেন্ডারের পাতায় যুক্ত হতে যাচ্ছে ২০২৪ সাল। এসব প্রতিকূলতা আর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাবে দেশের বীমা খাত এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

২০২৩ সালে দেশের বীমা খাতে আলোচিত এমনই ১০টি ঘটনা ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু

ব্যাংকাস্যুরেন্স চালুর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ ডিসেম্বর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর ফলে দেশের সকল তফসিলি ব্যাংক বীমা কোম্পানির করপোরেট এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারবে। প্রজ্ঞাপনটিতে বলা হয়, সকল তফসিলি ব্যাংক আজ থেকে বীমা কোম্পানির করপোরেট এজেন্ট হিসেবে বীমা পণ্য বিপনন ও বিক্রয় ব্যবসায় নিয়োজিত হতে পারবে।

এর আগে গত ১৮ জুলাই তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বীমা কোম্পানির করপোরেট এজেন্ট হিসেবে বীমাপণ্য বিক্রয় কর্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞাপন জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। পরে ২০ জুলাই ব্যাংকাস্যুরেন্স গাইডলাইন্সের কিছু বিষয়ে সংশোধণের প্রয়োজনে তা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।

নতুন ব্যাংকাস্যুরেন্স গাইড লাইফ অনুসারে ব্যাংকাস্যুরেন্সের আওতায় লাইফ বীমার সকল পণ্যই বিক্রি করতে পারবে তফসিলি ব্যাংক। নন-লাইফ বীমা কোম্পানির পণ্যগুলোর মধ্যে থাকছে- স্বাস্থ্য বীমা, মোটর বীমা, শিক্ষা বীমা, কৃষি বীমা ও ভ্রমণ বীমা। অগ্নী ও নৌ বীমা ব্যাংকাস্যুরেন্সের আওতায় বাইরে থাকবে।

সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের মালিকানা বদল

আর্থিক সংকটের মধ্যেই দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তাদের কাছে শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা। গত ৩০ অক্টোবর বীমা কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ঘোষণা দেন তাদের ১ কোটি ৫৪ লাখ ১৯ হাজার শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন, যা মোট শেয়ারের ৩৮ শতাংশ।

এসব শেয়ার কিনে নিচ্ছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় নন-লাইফ বীমা কোম্পানি গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স।

তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে গ্রাহকের দায় পরিশোধে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের কি পরিমাণ আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে বা কোম্পানিতে গ্রাহকের দায় পরিশোধে ঘাটতির পরিমাণ কত? সেই সাথে মালিকানা পরিবর্তনে গ্রাহকের হয়রানি বন্ধ হবে কিনা তা নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।

বীমায় আস্থা বাড়াতে করপোরেট গভর্ন্যান্স গাইডলাইন জারি

দেশের বীমা খাতের ওপর জনআস্থা বাড়াতে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে খাতটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য করপোরেট গভর্ন্যান্স গাইডলাইন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। এটি বাস্তবায়ন হলে বীমা কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা, পেশাদারিত্ব ও আর্থিক শৃঙ্খলা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত হবে।

গত ১৯ অক্টোবর ‘বীমাকারীর করপোরেট গভর্ন্যান্স গাইডলাইন, ২০২৩’ নামে নতুন এই গাইডলাইন জারি করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । গাইডলাইনটি চূড়ান্ত করার আগে এটিকে আরো বাস্তবমুখী করতে অংশীজনদের মতামত নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে গাইডলাইনটি প্রকাশ করা হয়।

স্বদেশ ইসলামী লাইফের নতুন পলিসি ইস্যুর ওপর নিষেধাজ্ঞা

অতিরিক্ত ব্যয়, লাইফ ফান্ড গঠন করতে না পারা, পরিশোধিত মূলধন ও মূলধন থেকে অর্জিত সুদের অর্থ খরচ করা, পলিসি নবায়নের হার কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে স্বদেশ ইসলামী লাইফের নতুন পলিসি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।

গত ৩ মে বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহীকে লেখা এক চিঠিতে আইডিআরএ জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে।

এর দীর্ঘ পাঁচ মাস পর গত ১১ অক্টোবর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় আইডিআরএ। ফলে আবারও নতুন বীমা পলিসি ইস্যু করতে শুরু করেছে স্বদেশ ইসলামী লাইফ।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন

‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ’ –এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে ২০২৩ সালের ১ মার্চ চতুর্থবারের মতো সারাদেশে পালিত হয় জাতীয় বীমা দিবস। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজন করা হয় জাতীয় বীমা দিবসের মূল অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।

দিনটিকে ঘিরে উৎসবের আমেজ ছিল দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোতে। কাঙ্খিত দিবসের আগ থেকেই আলোকসজ্জাসহ বর্ণিল সাজে সাজানো হয় বীমা কোম্পানিগুলোর প্রধান কার্যালয় ও শাখা কার্যালয়। এ বছরই প্রথম জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে লাইফ ও নন-লাইফ খাতের ৪টি কোম্পানিকে পুরস্কৃত করে সরকার।

১৯৮০ সালের মরটালিটি ও মরবিডিটি টেবিল পরিবর্তন

লাইফ বীমা খাতে নতুন মরটালিটি টেবিল ও মরবিডিটি টেবিল বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সার্কুলার নং লাইফ: ১৩/২০২৩ জারি করে আইডিআরএ। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের জন্ম-মৃত্যু হার ও স্বাস্থ্যগত পরিসংখ্যান নিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে এসব টেবিল।

এর ফলে ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সালে এ অঞ্চলের মানুষের জন্ম-মৃত্যু হার ও স্বাস্থ্যগত পরিসংখ্যান নিয়ে প্রস্তুত করা ১৯৮০ সালের মরটালিটি টেবিল ও মরবিডিটি টেবিলের ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসতে যাচ্ছে দেশের লাইফ বীমা খাত। এর মাধ্যমে প্রবেশ করতে যাচ্ছে নতুন এক দিগন্তে।

মরটালিটি টেবিলকে ‘বাংলাদেশ অ্যাসিউরড লাইভস মরটালিটি টেবিল (২০১৫-২০১৮)’ নামে এবং মরবিডিটি টেবিলকে ‘বাংলাদেশ মরবিডিটি টেবিল (২০১৫-২০১৮)’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।

রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স গাইডলাইন্স জারি

তথ্য প্রযুক্তি খাতকে বীমা সেবায় সম্পৃক্ত করতে রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স গাইডলাইন্স জারি করেছে আইডিআরএ। এটি বাস্তবায়ন হলে ইন্স্যুরটেক প্লাটফর্মের মাধ্যমে দেশের বীমা খাতে উদ্ভাবনী ধারণা প্রবর্তন হবে। যা বীমা খাতের সুশৃঙ্খল বিকাশ এবং গ্রাহকস্বার্থ সংরক্ষণে সহায়তা করবে।

গত ১৭ আগস্ট গাইডলাইন্সটি চূড়ান্ত করা হয় এবং এটি পরিপালনের জন্য জারি করা হয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষের পরিচালক ও মুখপাত্র (উপসচিব) জাহাঙ্গীর আলম। গাইডলাইন্সটি চূড়ান্ত করার আগে এটিকে আরো বাস্তবমুখী করতে অংশীজনদের মতামত নেয়া হয়।

হোমল্যান্ডের মুখ্য নির্বাহীকে অপসারণের আদেশ আইডিআরএ’র, আদালতে স্থগিত

বিশেষ নিরীক্ষককে তথ্য না দেয়ার অভিযোগে গত ২১ সেপ্টেম্বর হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলকে অপসারণ করে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল।

রিটের শুনানি শেষে গত ১১ অক্টোবর সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি যৌথ বেঞ্চ অপসারণের এই আদেশ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন। একইসঙ্গে অপসারণের এই আদেশকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

তবে আদালতের রুল জারি থাকা অবস্থায় অগ্রিম বেতন-ভাতা দিয়ে ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলকে মুখ্য নির্বাহীর পদে থেকে অব্যাহতি দেয় হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। গত ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভায় অব্যাহতির এ সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি।

বীমা দাবি পরিশোধে ব্যর্থ প্রগ্রেসিভ লাইফে পর্যবেক্ষক নিয়োগ

গ্রাহকদের বীমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে আইডিআরএ। ২০২৩ সালের ১ জুন কোম্পানিটির পর্ষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো এক চিঠিতে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায় বীমা খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোহা. আব্দুল মজিদকে বীমা কোম্পানিটিতে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত তিনি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত থাকবেন বলে কর্তৃপক্ষের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

বিনা পয়সায় সোনালী লাইফের পর্ষদে ৭ পরিচালক; আইডিআরএ’র অনুমোদন ছাড়াই ফ্লোর বিক্রি করে ২১২ কোটি টাকা নিয়েছেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস

বছরের শেষ মূহুর্তে এসে বীমা খাতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে সোনালী লাইফের কাছে কোম্পানিটির বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের ফ্লোর বিক্রির ঘটনা। আইডিআরএ’র অনুমোদন ছাড়াই ফ্লোর বিক্রি দেখিয়ে তিনি বীমা কোম্পানিটি থেকে নিয়েছেন ২১২ কোটি টাকা। এই টাকা নেয়া হয় ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বরের মধ্যে।

মালিবাগে নিজের মালিকানাধীন ১৫তলা বিশিষ্ট ওই ভবনের ১ লাখ ৩২ হাজার ৮শ’ স্কয়ার ফিট জায়গা তিনি বিক্রির চুক্তি করেন ৩৫০ কোটি টাকায়। অথচ আইডিআরএ’র কাছে আবেদনে জমির মূল্য উল্লেখ করা হয় ১১০ কোটি টাকা। ভবনটির ফ্লোর ক্রয়ের অনুমোদন চেয়ে সোনালী লাইফ আইডিআরএ’র কাছে আবেদন করে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর।

অপরদিকে পরিবারের সদস্যদের বিনা পয়সায় সোনালী লাইফের পরিচালক বানিয়ে কোম্পানিতে একক আধিপত্য তৈরি করেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। অভিযোগ রয়েছে, তার পরিবারের ৭ পরিচালকের কেউ-ই গাঁটের পয়সা দিয়ে সোনালী লাইফের পরিচালক হননি। অথচ কোম্পানির পরিচালক হিসেবে তারা ডিভিডেন্ট, বোর্ড ফি ও অন্যান্য নানা ধরণের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।

কোনো রকমের বিনিয়োগ ছাড়াই মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের সোনালী লাইফের চেয়ারম্যান হওয়া, পরিবারের সদস্যদের পরিচালক বানানো এবং ফ্লোর ক্রয়ের অনুমোদনের আগেই কোম্পানির তহবিল থেকে ২১২ কোটি টাকা নেয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের জেরে ইতোমধেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বীমা খাত নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ এবং পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।